Amar Sangbad
ঢাকা বুধবার, ০৮ মে, ২০২৪,

সিরিজ জিততেই আজ মাঠে নামবে বাংলাদেশ

রাজিবুল ইসলাম

মার্চ ২, ২০২০, ০৭:২৫ পিএম


সিরিজ জিততেই আজ মাঠে নামবে বাংলাদেশ

প্রথম ম্যাচ জিতে আগেই সিরিজে এগিয়ে রয়েছে বাংলাদেশ। তিন ম্যাচ সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডেতে আজ আবারো মাঠে নামবে বাংলাদেশ-জিম্বাবুয়ে।

আজকে জিতলেই সফরকারীদের বিপক্ষে সিরিজ জয় নিশ্চিত হবে মাশরাফি বাহিনীর। সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে ম্যাচটি শুরু হবে দুপুর ১টায়।

এর আগে প্রথম ম্যাচে ওয়ানডেতে ইতিহাস গড়া জয় পেয়েছে বাংলাদেশ। জিম্বাবুয়েকে ১৬৯ রানের বিশাল ব্যবধানে হারিয়েছে টাইগাররা। এখন পযর্ন্ত এটিই বাংলাদেশের ওয়ানডে ইতিহাসে সর্বোচ্চ রানের জয়।

এর আগে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ রানের জয় ছিলো শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে। ২০১৮ সালের জানুয়ারিতে মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে ১৬৩ রানের জয় পেয়েছিল টাইগাররা। বাংলাদেশের দেয়া ৩২১ রানের জবাবে সেবার লঙ্কানরা গুটিয়ে গিয়েছিল ১৫৭ রানে।

এবার মাশরাফি বিন মোর্তজাদের দেয়া ৩২২ রানের জবাবে জিম্বাবুয়ে অলআউট হয়েছে ১৫২ রানে। সিরিজের প্রথম ম্যাচে টসে জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে লিটন দাসের ক্যারিয়ার সেরা ইনিংসের সুবাদে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ৩২১ রান করে বাংলাদেশ। জবাব দিতে নেমে টাইগার বোলারদের সামনে অসহায় আত্মসমর্পণ করে জিম্বাবুয়ে।

চামু চিভাবার দল ৩৯.১ ওভারে করে মাত্র ১৫২ রান। নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৬ উইকেটে ৩২১ রান সংগ্রহ করে টাইগাররা। ওয়ানডেতে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে বাংলাদেশের এটি সর্বোচ্চ স্কোর। ওপেনার লিটন দাস ৪৫ বলে তুলে নিয়েছিলেন ব্যক্তিগত অর্ধশত। পরের ৫০ রান করতে তিনি খেলেন ৫০ বল।

এর আগে ২০১৮ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর দুবাইয়ে ভারতের বিপক্ষে ওয়ানডে তথা আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরি করেছিলেন লিটন। এদিন তিনি ১০৫ বলে ১৩টি চার ও দুই ছক্কার সাহায্যে ১২৬ রান করেন। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে লিটনের এটি ক্যারিয়ার সেরা ইনিংস।

অন্যদিকে, মোহাম্মদ মিথুন ৪১ বলে ৫০ রান করে অপরাজিত থাকেন। ১৫ বলে তিনটি ছক্কার সাহায্যে ২৮ রান করে অপরাজিত থাকেন মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন।

জিম্বাবুয়ের বোলারদের মধ্যে সর্বোচ্চ ২টি উইকেট শিকার করেন ক্রিস এমপোফু। ব্যাটিংয়ে নেমে তামিম-লিটনের ব্যাটে সতর্ক শুরু করে বাংলাদেশ। তামিম ধীরে এগোলেও লিটন রানের গতি সচল রেখেছিলেন। ওপেনিং জুটিতে পার্টনারশিপ হয় ৬০ রানের।

১৩তম ওভারে মাধিভিরের বলে এলবিডব্লিউ হন তামিম। ৪৩ বল খেলে তিনি করেন ২৪ রান। ওয়ানডাউনে নেমে লিটনের সঙ্গে ৮০ রানের জুটি গড়ে বিদায় নেন নাজমুল হোসেন শান্ত। ২৬তম ওভারে মুতোমবোদজির বলে এলবিডব্লিউ হন তিনি। ৩৮ বলে শান্ত করেন ২৯ রান।

কয়েকদিন আগে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে মিরপুর টেস্টে ডাবল সেঞ্চুরি করেছিলেন মুশফিকুর রহিম। কিন্তু তিনি এই ম্যাচে সুবিধা করতে পারেননি।

২৬ বলে ১৯ রান করে প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন তিনি। দলীয় ১৮২ রানে তিরিপানোর বলে উইকেটরক্ষকের হাতে ক্যাচ হন এই টাইগার ব্যাটসম্যান। সেঞ্চুরির পর যেন বিধ্বংসী হয়ে ওঠেন লিটন।

ইনজুরিতে না পড়লে হয়তো খেলতে পারতেন আরও বড় ইনিংস। ৩৭তম ওভারে স্লগ সুইপ করে মিড-উইকেট দিয়ে বড় একটি ছক্কা হাঁকান লিটন। কিন্তু এই ছক্কা হাঁকাতে গিয়েই ইনজুরিতে আক্রান্ত হন তিনি।

পরে আর খেলতে পারেননি একটি বলও। খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে মাঠ ছাড়তে হয় এই টাইগার ওপেনারকে। লিটন মাঠ ছাড়লে রিয়াদের সঙ্গে জুটি বাঁধেন মিথুন। এই জুটিটি ভালো জমেছিল। তারা দুজন ৬৮ রানের পার্টনারশিপ করেন।

দলীয় ২৭৪ রানে এমপোফুর বলে এলবিডব্লিউ হন রিয়াদ। ২৮ বলে ৩২ রানের কার্যকরী ইনিংস খেলেন তিনি। ৪৮তম ওভারে ব্যক্তিগত অর্ধশত পূরণ করেন মোহাম্মদ মিথুন।

কিন্তু হাফ সেঞ্চুরি করার পরের বলেই তিনি আউট হয়ে যান। পরের দিকের ব্যাটসম্যানরা দলের স্কোর আরেকটু বাড়িয়ে ৩০০ পার করে দেন।