Amar Sangbad
ঢাকা শনিবার, ১১ মে, ২০২৪,

‘বিকেলের সকল আয়োজন সকালেই শেষ’

সাদুল্লাপুর (গাইবান্ধা) প্রতিনিধি

এপ্রিল ৯, ২০২০, ১২:২৭ পিএম


‘বিকেলের সকল আয়োজন সকালেই শেষ’

গাইবান্ধার সাদুল্লাপুর উপজেলার সবচেয়ে কাঁচামাল উৎপাদন এলাকা হিসাবে খ্যাত ধাপেরহাট।এখানে সপ্তাহে দুদিন সোমবার ও বৃহস্পতিবার সাপ্তাহিক হাট বার। এই হাটে এলাকার কৃষকরা তাদের উৎপাদিত কাঁচামাল হাটে পাইকারি বিক্রি করা জন্য নিয়ে আসে।উক্ত হাট বন্ধ না করে ক্রেতা,বিক্রেতারা যাতে করে সামাজিক দূরত্ব বজায় থাকে এমন চিন্তা থেকেই খুচরা ও পাইকারী কাচাঁমালের বাজার আলাদা করে দেয়া হয়।

এজন্য গতকাল বুধবার বিকেলে ইজারাদারের পক্ষ থেকে সরকার ঘোষিত জনসমাগম রোধে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার জন্য চুনএবং রঙ দিয়ে বৃত্ত এঁকে দিলেও আজ বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে নয়টায় পাইকারী ও খুচরা বাজারে সরোজমিনে গিয়ে তার অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া যায়নি। ইজারাদারদের সকল আয়োজনই বৃথা।বিকেলের আয়োজন সকালেই শেষ। বৃত্তের মাঝে নেই কোন ক্রেতা।মানছে না কোন সামাজিক দূরত্ব যে যেভাবে কিনছে গাদাগাদি করে পন্য।

এ বিষয়ে হাট ইজারাদার বলেন,সরকার ঘোষিত নিয়ম অনুযায়ী আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করেছি। জনগণ না মানলে আমরা কি করবো? সচেতন মহল মনে করেন এই মুহূর্তে যে অবস্থার মধ্যে আমরা আছি তাতে এভাবে হাটে এত মানুষের সমাগম উপকারের চেয়ে ক্ষতি বেশী।

এমন পরিস্থিতিতে হাট খোলা বা বন্ধের বিষয়টি আশা করি কতৃপক্ষ ভেবে দেখবেন।বিক্রেতারা জানান,লআমরা ফসল উৎপাদন করেছি তা যদি সময়মতো বিক্রি করতে না পারি তাহলে তা জমিতে নষ্ট হয়ে যাবে।কাঁচামাল তো আর মজুদ করে রাখা সম্ভব না।

অপরদিকে পাইকাররা জানান, আমরা যদি পাইকারী কাঁচামাল কিনতে না পারি তবে তা ভোক্তা পর্যায়ে কি ভাবে পৌঁছিবে? আর ভোক্তার চাহিদা অনুযায়ী কাঁচামাল সরবরাহ করা না গেলে বাজারে দাম বেড়ে যাবে। এতে পাইকারী বিক্রেতা কৃষক ও খুচরা ক্রেতা(ভোক্তা)বেশী ক্ষতিগ্রস্ত হবে। তাই কি আর করার সব জেনে বুঝেই যতটা নিয়মের মাঝে করা যায় সেটাই চেষ্টা করছি।

বিষয়টি সাদুল্লাপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে অবগত করা হলে তিনি কোন মন্তব্য করেননি।

আমারসংবাদ/এমআর