Amar Sangbad
ঢাকা শনিবার, ১১ মে, ২০২৪,

জীবননগরে বাদামের বাম্পার ফলনেও কৃষকদের হতাশা

মো. মিঠুন মাহমুদ, জীবননগর (চুয়াডাঙ্গা)

জুন ২৩, ২০২০, ০১:২৯ এএম


জীবননগরে বাদামের বাম্পার ফলনেও কৃষকদের হতাশা

জীবননগরে বাদামের বাম্পার ফলন হলেও আশানুরূপ দাম না পাওয়ায় কৃষকরা হতাশ। সরেজমিন দেখা গেছে, জীবননগর উপজেলার বাঁকা ইউনিয়নের প্রতাবপুর, মিনাজপুর, মোক্তারপুরসহ বেশ কয়েকটি গ্রামে মাঠজুড়ে সবুজের সমারোহ হয়ে আছে বাদামের গাছে। খরচ খরচা কম হওয়ায় এলাকার কৃষকরা বাদাম চাষে রীতিমতো ঝুঁকে পড়েছেন।

তবে জমিতে বাদামের ফলন বেশি হলেও বাদামের ন্যায্য দাম না পাওয়ায় এলাকার বাদামচাষিরা হতাশার মধ্যে দিন যাপন করছেন। প্রতাবপুর গ্রামের বাদামচাষি রমজান আলী বলেন, আমি দুই বিঘা জমিতে বাদাম লাগিয়েছি, বিঘা প্রতি ২০ হাজার থেকে ২২ হাজার টাকা খরচ হয়েছে।

এ বছর বাদাম হয়েছে বিঘাপ্রতি চার থেকে পাঁচ মণ করে। বর্তমান বাজারে প্রতি মণ বাদাম চার হাজার টাকা মণ দরে বিক্রি হচ্ছে। তবে গত বছরের তুলনায় এ বছর বৃষ্টি বেশি হওয়ার ফলে বাদামের গোড়াপচা রোগ দেখা দেয়ার ফলে ফলন কম হয়েছে। তা ছাড়া বাজার মূল্যে অনুযায়ী এ বছর খরচ খরচা বাদ দিয়ে বাদাম চাষে লাভ করা দায় হয়ে পড়বে।

একই কথা বলেন মোক্তারপুর গ্রামের হাসান আলী। তিনি বলেন, জমিতে খুব সুন্দর ফলন হলেও বাজার মূল্যে একেবারে কম সরকারিভাবে যদি বাদাম চাষে ভর্তুকির ব্যবস্থা করা হয় তা হলে আমাদের একটু সুবিধা হতো। তা না হলে আগামিতে বাদাম চাষ করা খুব কষ্ট হয়ে যাবে।

জীবননগর উপজেলা কৃষি অফিসার শারমিন আক্তার বলেন, জীবননগর উপজেলায় এ বছর ৬৭ হেক্টর জমিতে বাদাম চাষ হয়েছে। গত বছরের তুলনায় এ বছর একটু বেশি।

তবে এ বছর বৃষ্টি হওয়ার কারণে বাদাম অনেকটা নষ্ট গেছে। বিশেষ করে বাদামের গোড়া পচে গেছে। তারপর ও এ বছর বিঘাপ্রতি চার থেকে পাঁচ মণ বাদামের ফলন হয়েছে। বাজার মূল্যটা একটু কম, যার জন্য কৃষকরা একটু হতাশ।

তবে কৃষি অফিস থেকে বাদামচাষিদের সবসময় পরামর্শ দেয়া হয়েছে। যদি বৃষ্টি না হতো তাহলে এ বছর বাদাম চাষে কৃষকরা লাভবান হতেন।

আমারসংবাদ/এসটিএম