Amar Sangbad
ঢাকা শুক্রবার, ১০ মে, ২০২৪,

পাকিস্তানি ঘাঁটিতে যুদ্ধবিমান, লাদাখে চীনের ক্ষেপণাস্ত্র!

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

জুলাই ১, ২০২০, ১২:২৯ পিএম


পাকিস্তানি ঘাঁটিতে যুদ্ধবিমান, লাদাখে চীনের ক্ষেপণাস্ত্র!

 

লাদাখ সীমান্তে গলওয়ান উপত্যকায় চীনা সেনাদের সঙ্গে ভারতীয় সেনাদের সংঘর্ষের পর সতর্ক অবস্থানে আছে দুই দেশের সেনারা। মঙ্গলবার (৩০ জুন) পূর্ব লাদাখের চুসুল-মলডো সীমান্তে বৈঠকে বসেছিল দু’দেশ। কিন্তু বৈঠকে সমাধানসূত্র পাওয়া যায়নি বলে জানা গেছে।

ভারতের স্থানীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা যায়, ভারত প্যাংগং ও গালওয়ান উপত্যকায় দখল করা জমি ছাড়তে বললে চীন উল্টা লাদাখ সীমান্তে ভারতীয় সেনা কমানোর চাপ দেয়।

এদিকে ভারতের সঙ্গে সীমান্ত বিবাদের মধ্যে পাকিস্তানের অধীনে থাকা কাশ্মীরের স্কার্দু বিমান ঘাঁটিকে কাজে লাগাচ্ছে চীন। সেখানে চীনের বিমান বাহিনীর মুভমেন্ট দেখতে পেয়েছে ভারতের এজেন্সি। তারা সতর্ক করে দিয়েছে ভারতকে। তাদের দেওয়া খবর অনুযায়ী ৪০টিরও বেশি চীনা ফাইটার জেট ‘জে-১০’ স্কার্দুতে দেখা গেছে।

ভারতের স্থানীয় গণমাধ্যমগুলো দাবি করছে, চীনা বিমান বাহিনী ভারতে হামলার জন্য এই বিমান ঘাঁটি ব্যবহার করার প্রস্তুতি নিচ্ছে।

ভারতশাসিত লাদাখের লেহ নামক একটি শহর থেকে ১০০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত পাকিস্তানের এই বিমান ঘাঁটিটি। যেকোনো চীনা বিমান ঘাঁটি থেকে এটা ভারতের অনেক কাছে। এই জন্যে চীন স্কার্দু বিমান ঘাঁটি ব্যবহার করে নিজের শক্তি পরীক্ষা চালাতে চায়। যাতে ভারতের একদম কাছ থেকে ভারতের ওপর হামলা চালানো যায়। তাই ভারতকে এবার ২টি আলাদা সীমান্তে লড়াইয়ের জন্য তৈরি থাকতে হচ্ছে।

দেশটির গণমাধ্যমে আরও বলা হয়, লাদাখের বিরুদ্ধে চীনের ব্যবহার করার জন্য তিনটি বিমান ঘাঁটি রয়েছে। সেখান থেকে ফাইটার এয়ারক্রাফট ব্যবহার করা যেতে পারে। এগুলো হলো কাশগর, হোতান আর নগ্রী গুরগুংসা। এই এয়ারবেসগুলো থেকে তাদের হামলা চালানোর ক্ষমতা সীমিত। কাশগর থেকে লেহর দূরত্ব ৬২৫ কিলোমিটার, খোতান থেকে ৩৯০ কিমি, ও গুরগুংসা থেকে ৩৩০ কিলোমিটার দূরে রয়েছে। এগুলো সবই ১১ হাজার ফুটের বেশি উচ্চতায় রয়েছে। আর সেখানেই ১০০ কিলোমিটার দূরে স্কার্দু চীনের জন্য সবচেয়ে ভালো অপশন।

ভারতশাসিত লাদাখের কারগিল নামক শহর থেকে স্কার্দু ৭৫ কিলোমিটার দূরে। এই বিমান ঘাঁটির ২টি রানওয়ে আছে। একটি আড়াই কিলোমিটার লম্বা, আর দ্বিতীয়টি সাড়ে তিন কিমি লম্বা। চীনা ফাইটার জেট এই বিমান ঘাঁটি থেকে কাজ করে আবার সেখান থেকে ফিরে যেতে পারবে। আর ভারত যদি স্কার্দুতে পাল্টা হানা দেয় তাহলে পাকিস্তান যুদ্ধ শুরু করার সহজ বাহানা পেয়ে যাবে।

আসারসংবাদ/জেআই