Amar Sangbad
ঢাকা শুক্রবার, ১০ মে, ২০২৪,

পঞ্চগড় জেলার দেবীগঞ্জে করোনা রোগী সবচেয়ে বেশি

দেবীগঞ্জ (পঞ্চগড়) প্রতিনিধি

মে ৩০, ২০২০, ০৮:১৫ এএম


পঞ্চগড় জেলার দেবীগঞ্জে করোনা রোগী সবচেয়ে বেশি

করোনাকে সঙ্গী করে থাকতে হবে না এর থেকে রেহাই পাওয়া যাবে কোনটাই জানেন না মানুষ। চিনে যখন প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয় তখন টিভিতে দেখে অনেকটা আতঙ্কিত হয়েছিল বা মনে করেছিল চিন দেশতো অনেক দূরে ঐ দেশের ভাইরাস বাংলাদেশে আসতে পারবে না।

এই ভাইরাসকে নিয়ে যখন চিন দেশে বিভিন্ন আলোচনা চলছিল সেই সময় আমাদের দেশের গ্রামগুলোতে অনেকেই বিশ্বাস করতো না অনেকে আবার মনে করতো এইসব ভূয়া যা হচ্ছে রাজনৈতিক খেল। প্রবাসী বা বিদেশ থেকে যখন মানুষ দেশে ফিরতে শুরু করলো তখনো সরকারি ভাবে ছাড়া অনেকেই আমরা গুরুত্ব দেইনি যার ফল এখন ভোগ করতে হচ্ছে। এই করোনাকে নিয়ে গ্রামের মানুষদের মধ্যে অনেক হাসি ঠাট্টাও করতে দেখা গেছে।

প্রথম যখন বাংলাদেশে করোনা রোগী শনাক্ত হয় তখনো গ্রামের মানুষের মধ্যে অনেক হাসি ঠাট্টা ও ট্রল করতে দেখা গেছে। প্রকৃতপক্ষে  করোনা কি? আস্তে আস্তে যখন দেশে করোনা রোগীর সংখ্যা বারতে থাকে মানুষ টিভি, পত্রিকায় দেখে তখন গ্রামের কিছু সচেতন মানুষ করোনার বিষয়ে সচেতন থাকতে হবে বুঝতে পারলো। সরকার যখন সিদ্ধান্ত নিলো দেশ লকডাউন করার ঠিক সেই সময়ও গ্রামের মানুষদের মধ্যে কোন প্রকার সচেতনতা দেখা যায়নি।

গ্রামগঞ্জে দেখা গেছে, কেউ লকডাউন বা ঘড়ে থাকত  হবে প্রয়োজন ছাড়া বাড়ির বাহিরে বের হওয়া  যাবে না এটা মানেনি যার ফল এখন পাওয়া যাচ্ছে। তবে সচেতন মহল বলছে এই ভাইরাস যেহেতু গ্রামের মানুষদের দ্বারা হচ্ছে না একমাত্র বিদেশ ফিরত আর এখন ঢাকা ফিরতদের মাধ্যমে ছড়াচ্ছে সেহেতু এই বিষয়টি গুরুত্বসহকারে দেখা দরকার ছিলো।

স্থানীয় স্বাস্থ্যকর্মীরা বলছেন গ্রামের পরিস্থিতি কোন দিকে যাবে বলা যাচ্ছে না কারণ হিসেবে দায়ী করছেন ঢাকা ফিরত ব্যক্তিদের তারা ঢাকা থেকে এসে প্রকাশ্য হাটবাজারে ঘুরা ফেরা বাড়ির মানুষেরদের সাথে মিলামেশা সহ বিভিন্ন কাজের সাথে জড়িত ছিলো যা সবাইকে বিপদের মুখে পরতে হচ্ছে।

সচেতন মহল মনে করছে সরকার যখন লকডাউন ঘোষণা করে সেই সময়টা যদি নিজ নিজ জায়গা থেকে সচেতন থাকতাম বাড়ির বাহিরে বের না হতো তাহলে হয়তো আল্লাহর রহমতে এতো ব্যাপকহারে করোনা রোগী শনাক্ত হতো না।

পঞ্চগড় জেলায় প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয় তেতুলিয়া উপজেলায় আস্তে আস্তে ছড়িয়ে পড় পঞ্চগড় জেলার ৫ টি উপজেলায়। এখন দিনের পর দিন জেলার দেবীগঞ্জ উপজেলায় করোনা রোগী শনাক্ত হচ্ছে অনেক বেশি।

জেলার মধ্যে প্রথম স্থানে রয়েছে দেবীগঞ্জ উপজেলা যা রোগীর সংখ্যা গত ২৯ মে পর্যন্ত ২৭ জন।  জানা যায় দেবীগঞ্জ উপজেলার ১০ টি ইউনিয়নের মধ্যে চিলাহাটি ইউনিয়নে ৯ জন  ও পামুলি ইউনিয়নে ৮ জন চেংঠি হাজারা ডাঙ্গা ইউনিয়নে ৫ জন বাকি ৫ জন অন্যান্য  ইউনিয়নে। এর মধ্যে চিলাহাটি ইউনিয়নের ১ জন (পুরুষ) গত ২৯ মে  মৃত বরণ করেন৷

আমারসংবাদ/এমআর