Amar Sangbad
ঢাকা বৃহস্পতিবার, ০৯ মে, ২০২৪,

ঝিনাইদহে পাট চাষে লোকসানে চাষি

কে এম সালেহ, ঝিনাইদহ

আগস্ট ১৯, ২০২০, ০১:৫৫ পিএম


ঝিনাইদহে পাট চাষে লোকসানে চাষি

বৈরী আবহাওয়া আর অসময়ে বৃষ্টির কারণে ঝিনাইদহে পাটের ফলন বিপর্যয়ের আশঙ্কা করছেন চাষিরা। ইতোমধ্যে ৭০ ভাগ জমির পাট জমি থেকে কাটা হয়েছে বলে জানিয়েছে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর। কৃষি অধিদপ্তরের দেয়া তথ্য মতে, এ বছর জেলার ৬ উপজেলায় ২২ হাজার ৪৫০ হেক্টর জমিতে পাটের আবাদ হয়েছে।

এর মধ্যে সদর উপজেলায় ৫ হাজার ২২০ হেক্টর, কালীগঞ্জে ১৬শ হেক্টর, কোটচাঁদপুরে ৮২০ হেক্টর, মহেশপুরে ৩ হাজার ২১০ হেক্টর, শৈলকুপায় ৭ হাজার ৯৫০ হেক্টর ও হরিণাকুণ্ডুতে ৩ হাজার ৬৫০ হেক্টর জমিতে পাটের আবাদ হয়েছে।

পাটের উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৫১ হাজার ৪৯৬ মেট্টিক টন। পাটের আবাদের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হলেও উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হচ্ছে না। কারণ হিসেবে কৃষকরা বলছেন, পাটের বাড়ন্ত সময় বৃষ্টির কারণে ফলন ভালো হয়নি।

শৈলকুপা উপজেলার বেলেডাঙ্গা গ্রামের পাটচাষি নাসির উদ্দীন জানান, পাটবীজ জমিতে রোপণ করার পর পাটের চারা ভালো গজিয়েছিল। কিন্তু বৃষ্টির কারণে পাটের গোড়ায় শেকড় গজিয়ে যায়। যে কারণে বাড়ন্ত কমে যাওয়ায় এবার ফলন কম হয়েছে।

মহেশপুর উপজেলার বাতানগাছি গ্রামের কৃষক সজল মিয়া জানান, এ বছর তিনি ৩ বিঘা জমিতে পাট আবাদ করেছিলেন। বৃষ্টির কারণে একটি জমির পাট বড় না হওয়ায় শুরুর দিকে তা কেটে অন্য আবাদ করছি। ২ বিঘা জমিতে যে পাট ছিল তারও ফলন ভালো হয়নি। এ বছর পাট চাষে লোকসান গুনতে হচ্ছে।

সদর উপজেলার খাজুরা গ্রামের কৃষক বিশারত আলী জানান, তিনি ১ বিঘা জমিতে এ বছর পাটের আবাদ করেছেন। পাট বীজ, চাষাবাদ, সার প্রয়োগ, নিড়ানী, পাট পরিচর্যা, শ্রমিক খরচ, পাট জমি থেকে কেটে পানিতে জাগ দেয়া, আঁশ ছাড়ানো পর্যন্ত তার খরচ হয়েছে ৩৪ হাজার টাকা। ২২ কাঠা জমিতে তিনি পাট আশা করছেন ১৩ থেকে ১৪ মণ। যার বর্তমান বাজার মূল্যে ২৮ হাজার টাকা। পাটকাঠি বিক্রি হবে ৫ হাজার টাকা। এ ক্ষেত্রে তার লোকসান হচ্ছে ১ হাজার টাকা।

তিনি বলেন, আমার জমিতে অন্যদের তুলনায় পাটের ফলন ভালো হয়েছে। তবুও লোকসান হবে। তাহলে যাদের ফলন ভালো হয়নি তাদের কি পরিমাণ লোকসান গুনতে হচ্ছে।

শৈলকুপা উপজেলার ভাটই গ্রামের পাটচাষি রাশেদ মোল্লা বলেন, বর্তমানে বাজারে পাটের দাম ১৬শ থেকে ২ হাজার টাকায় বিক্রি হলেও উৎপাদন কম হওয়ায় এবার লোকসান গুনতে হচ্ছে চাষিদের।

এ ব্যাপারে জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ কৃপাংশু শেখর বিশ্বাস বলেন, আবাদ লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হলেও পূরণ হচ্ছে না উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা। এ ক্ষেত্রে সরকারের বিভিন্ন প্রণোদনার আওতায় ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের সহযোগিতা করা হবে।

আমারসংবাদ/এমআর